bangla best choti. চারদিকটা কেমন অন্ধোকার লাগছে সৃষ্টির। তারপরও তাড়াতাড়ি করে টি শার্ট আর প্লাজোটা খুলে একটা সালোয়ার কুর্তি গায়ে দিয়ে হ্যান্ডব্যাগ টা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে সৃষ্টি। রাস্তায় নেমে একটা গাড়ি ধরে ড্রাইভার কে সোজা যেতে বলে এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল। এক ঘন্টার মাত্র পথ, কিন্তু আজ যেন অনন্ত সময় লাগছে। বার বার বাইরে তাকায় সৃষ্টি। নিজেকে কেমন নিঃস্ব আর অসহায় লাগছে ওর। ভেতর থেকে গুলিয়ে ওঠা কান্নাটাকে কোনো রকমে চাপা দিয়ে রেখেছে।
বারবার ফোন বের করে করে সময় দেখছে ও। ও জনে না সামনে কি অপেক্ষা করছে ওর জন্য, ভাবতেও চাচ্ছে না এ মূহুর্তে, ভাবলেই কান্না পাচ্ছে শুধু৷ কিন্তু এখন ওকে কাঁদলে চলবে না,শক্ত হতে হবে। হাসপাতাল এর সামনে গাড়ি দাড় করাতেই কোনো রকমে ভাড়াটা মিটিয়েই সৃষ্টি ঝড়ের বেগে ঢুকে পরে হাসপাতালে। ভেতরে ঢুকতেই চোখে পরে মেঝের উপর শোয়ানো লাশ তিনটার ওপর। মোটা তেরপল দিয়ে ঢাকা সারিবদ্ধ লাশগুলোর সামনে দৌড়ে যায় সৃষ্টি। এক ঝটকায় টেনে সরিয়ে দেয় তেরপল টা।
best choti
বাবা, মা আর ড্রাইভার রহমত ভাই এর লাশ পাশাপাশি রাখা। বাবা মা এর এই বিভৎস ক্ষতবিক্ষত চেহারা দেখে এতক্ষণ ধরে ভেতরে আটকে রাখা কান্নাটা এক লহমায় ছিটকে বেরিয়ে আসে। হুমুড়ি খেয়ে পরে সৃষ্টি বাবা মা এর লাশ এর ওপর। কেঁদে ওঠে হু হু করে। মনে হয় যেন মুহুর্তের এক দমকা ঝর এসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে ওর মাথার ওপরকার ছাদটা। এতো নিরাশার মাঝেও সামান্য আশার আলো ওর জন্য সৃজন। ওর ভাইটা এখনো বেঁচে আছে। এমন সময়ে হাসপাতালে ঢোকে ওদের ম্যানেজার রবিউল হাসান।
সৃষ্টিকে দেখে এগিয়ে যায় শান্তনা দিতে। সৃষ্টিকে ধরে দার করায়। কান্না থামানোর জন্য পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে থাকে। এতো বিপদের মাঝে লোকটা শান্তনা দিতে এসেছে যদিও, তার পরো পিঠে হাত বোলানোতে যেন সারা শরীরটা ঘিনঘিন করে ওঠে সৃষ্টির। ছিটকে সরে যায় দূরে। রবিউল চোখ থেকে চশমাটা খুলে সৃষ্টিকে দেখিয়ে দেখিয়ে চোখ মুছতে থাকে আর বলে ইসসস স্যার আমাকে কতো আদর করতেন, নিজের ছেলের মতো দেখতেন সব সময়। এদিকে মনে মনে বলতে থাকে শালি মাগি, বাপ মা মরলেও তেজ কমে নাই এখনো। best choti
মাগির তেজ দেখানো বের করব আমি। এমন সময়ে ইমার্জেন্সি থেকে ডাক্তারকে বের হতে দেখেই দৌড়ে যায় সৃষ্টি।
– ডক্টর আমার ভাই এর কি অবস্থা? মানে এএক্সিডেন্টে যে রোগী বেঁচে আছে তার কথা বলছিলাম আর কি।
– দেখুন এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। এখনো জ্ঞান ফেরেনি, আগামী ২৪ ঘন্টায় যদি জ্ঞান না ফেরে তবে একটা অপারেশন করতে হবে। আর হ্যা উনার একটা পা মনে হয় স্থায়ীভাবে অকেজো হয়ে গেছে।
সৃষ্টির ভেতরটা যেন মুচড়ে ওঠে। ভাবে হোক পা অকেজো, তবু বেঁচে থাক সৃজন। কাঁদতে কাঁদতে ডাক্তার কে বলে
– দেখুন ডাক্তার সাহেব যতো টাকা লাগে লাগুক, আমার ভাইটা যেন বেঁচে থাকে।
– দেখুন টাকা পয়সা দিয়ে তো আর সব হয়না, উপর ওয়ালা কে ডাকুন। দেখা যাক কি হয়।
ডাক্তার এর সাথে কথা বলার সময়ে কখন যে রবিউল পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বোঝেনি সৃষ্টি। best choti
গলা খাকাড়ি দিতে পাশে তাকিয়ে রবিউল কে দেখতে পায় সৃষ্টি। চোখ থেকে চশমাটা খুলে শার্ট এর কোন দিয়ে গ্লাস মুছতে মুছতে সৃষ্টিকে বলে
– আসলে ম্যাডাম কিভাবে বলব ঠিক বুঝতে পারছি না!
– বলুন কি বলবেন?
– আসলে ম্যাডাম টাকা পয়সার একটু ক্রাইসিস ই চলছে আমাদের, ব্যাবসার অবস্থা খুব একটা ভালোনা…
রবিউলকে কথা শেষ করতে দেয়না সৃষ্টি, আগুন চোখে তাকায় রবিউল এর দিকে।
– কি বোঝাতে চাচ্ছেন আপনি? ব্যাবসার অবস্থা ভালো না মানে? যতো খারাপ ই হোক আমার ভাই এর জীবন এর আগেতো কিছু না, দরকার হলে ওর জন্য পুরো ইন্ডাস্ট্রি যদি বিক্রি করতে হয় আমি তাতেও রাজি।
– আপনি সেটা পারেন না ম্যাডাম।
ক্ষেপে ওঠে সৃষ্টি। best choti
– নিজের সীমা ছাড়ানোর চেষ্টা করবেন না মিস্টার রবিউল, মনে রাখবেন আপনি এখনো আপনি আমার বেতনভুক্ত কর্মচারী।
ভেতরে ভেতরে রেগে বোম হয়ে যায় রবিউল। মনে মনে বলে মাগি তোর মালকিনগিরি বের করব। কয়টা দিন যেতে দে আর!
মুখে বলে
– আমি আমার সীমা জানি ম্যাডাম, কিন্তু আসলে স্যার কিছুদিন আগে শ্রবণ স্যার এর বয়স আঠারো হওয়ার আগ পর্যন্ত পাওয়ার ওফ এটর্নি আপনার চাচার ওপরে দিয়ে গেছেন।
এতটা অবাক সৃষ্টি জীবনে হয়নি। বাবা কেন এমনটা করবেন? নিজের মনেই প্রশ্ন করে সৃষ্টি। এমনটা তো না যে চাচার সাথে ওদের অনেক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক! অনেক দিন তো কোনো যোগাযোগ ই ছিলনা, তবে হ্যা শেষ দিকে বাবা অবশ্য গ্রামে যাতায়াত করেছিলেন তাই বলে ইন্ডাস্ট্রির পাওয়ার অফ এটর্নি দিয়ে যাবেন??? বাবার এ খামখেয়ালীপনার কোনো উত্তর খুঁজে পায়না সৃষ্টি! ইমার্জেন্সি রুম এর দরজায় দারিয়ে গ্লাস লাগানো অংশটুকুর মধ্য দিয়ে দেখতে থাকে সৃজনকে। best choti
একটা পা এর পুরোটা ব্যান্ডেজ মোড়া, মাথায় একটা ব্যান্ডেজ, একটা হাত এর একপাশ এ ব্যান্ডেজ। মুখে লাগানো অক্সিজেন মাক্স। নিশ্বাস এর তালে তালে বুকটা মৃদু ওঠানামা করছে। মুচড়ে ওঠে সৃষ্টির ভেতরটা। ও আরেকবার ভালো ভাবে অনুভব করে সৃজন হলো ওর বেঁচে থাকার স্পন্দন, সৃজনকে ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব ওর পক্ষে।
এর মধ্যেই মারুফ মেম্বার পরিবার সহ এসে পৌছায় হাসপাতালে। চাচা এসেছে শুনে পায়ে পায়ে এগিয়ে যায় সৃষ্টি। সৃষ্টিকে দেখেই হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে মারুফ মেম্বার। ভাই এর লাশের ওপর পরে ডুকরে কেঁদে ওঠে ভাইরে ভাই আমার আহা রে আমারে ফালায়া চইলা গেলি ভাই? ও খোদা তুমি অর বদলে আমারে নিলানা ক্যা? ভাইরে ভাই আমার তুই ছুট হইয়াও আমার আগেই চইলা গেলি? মারুফ মেম্বার এর দেখাদেখি কেঁদে ওঠে চম্পা রানী আর মনিও। সৃষ্টির কাছে অর্থহীন মনে হয় এখন এসব কান্নাকাটি। best choti
হাজার কাঁদলেও এখন ও আর ফিরে পাবেনা বাবা মাকে, তবে সৃজন এর জন্য এখনো অনেক কিছু করার আছে। ধরা গলায় সৃষ্টি বলে চাচাজান আপনার সাথে আমার একটু কথা ছিল।
চোখ মুছতে মুছতে উঠে দাড়াতে দাড়াতে মারুফ মেম্বার উত্তর দেয় বল মা বল কি কইবি আমারে?
– চাচা আসলে বাবা নাকি মারা যাবার আগে পাওয়ার অফ এটর্নি আপনাকে দিয়ে গেছে। আর যতদুর বুঝতে পারছি সৃজন এর কালকের মধ্যে জ্ঞান না ফিরলে অপারেশন করতে হবে, আর অনেক টাকার প্রয়োজন এ জন্য।
– এইডা কুনো কথা কইলিরে মা? আমার ভাইস্তার জন্যে দরকার হয় আমার বাড়িঘর সহ বেইচ্চা দিমু আমি। ও আমার রক্ত। যেমনে হোক ভালো করমু ওরে।
চাচার কথায় যেন একটু আসস্থ হয় সৃষ্টি। যে শংকাটা তৈরি হয়েছিলো মনে তা কেটে যায়। বাবা মার লাশ ছেড়ে সৃষ্টি আবারও গিয়ে দাঁড়ায় ইমার্জেন্সি রুমটার সামনে। best choti
কিছুক্ষণ সেখানে দাড়িয়ে থেকে আবার যাওয়ার জন্য ঘুরে বাবা মার লাশ এর কাছে। এল প্যাটার্ন লবিটার মাথায় যেতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসে রবিউল আর মারুফ মেম্বার এর কথপোকথন। ওদেরকে দেখা না গেলেও কথা ঠিকি শোনা যাচ্ছিলো।
মারুফ মেম্বার : দূর মিয়া কি কাম করলা এইডা? ছূড়াডা বাঁচলো কেমনে?
রবিউল : সব কিছুতো ঠিকই ছিল, শেষমেশ শালা বেজন্মা ড্রাইভার টা নিজে মরে ওকে বাঁচিয়ে গেছে।
কথাগুলো কানে যেতেই সৃষ্টির পরে যেতে নিয়েও দেয়াল ধরে দাঁড়ায়। তার মানে খুন করা হয়েছে বাবা মাকে! সৃজনকেও মারতে চেয়েছিলো! রহমত ভাই নিজের জীবন দয়ে বাঁচিয়েছে ওকে! ষড়যন্ত্র! এত্তো বড় একটা ষড়যন্ত্র!
ওরা আরো কি বলে শোনার জন্য কান খাড়া করে দাঁড়ায় সৃষ্টি।
মারুফ মেম্বার : তা অহন কি করবা মিয়া?
রবিউল : কি আর করা? জ্ঞান যেহেতু ফেরেনি আর না ফিরলেই হলো, সামান্য তো একটা ইনজেকশনের ব্যাপার! best choti
পুরো দুনিয়াটা যেন দুলে উঠলো সৃষ্টির। এই ষড়যন্ত্রের জাল কেটে ও বেরোবে কিভাবে? সৃজনকে যে করেই হোক বাঁচাতেই হবে। ঘুরে আবারও চলে যায় ইমার্জেন্সি রুম এর সামনে। ওখান থেকে নরেনা সৃষ্টি, ওর ভয় হয় কাছছাড়া হলেই সৃজনকে আর বাঁচাতে পারবে না ও।উপরওয়ালার অশেষ কৃপায় রাত আটটার দিকে জ্ঞান ফিরে আসে সৃজন এর। ডিউটিরত নার্সটা বেরিয়ে এসে সুসংবাদ টা জানায় সৃষ্টিকে। আনন্দে চোখে পানি আসে সৃষ্টির। নার্স এসে জড়িয়ে ধরে সৃষ্টিকে।
– আহারে কি মিষ্টি দেখতে তুমি আর তোমার ভাইটা, এই বয়সেই বাবা মাকে এক সাথে হারালে। জানোতো তোমার ভাইটা না তোমাকে অনেক ভালোবাসে। ঠিকমতো জ্ঞান ফেরার আগে যতোবারই জ্ঞান ফিরেছে ঘোরের মধ্যে কেবল একটা কথাই বলেছে। আপু তোকে ছেড়ে কোথাও যাবনা আমি।
হাসপাতাল এর দেয়ালটা ধরে কাঁদতে থাকে সৃষ্টি। নার্স এসে কাধে হাত রেখে শান্তনা দেয় সৃষ্টিকে। best choti
– সিস্টার আমি কি একবার ভেতরে যেতে পারি?
– হ্যা যেতে পারো,তবে এখনি ওকে কিন্তু কিছু জানানো যাবেনা। আর হ্যা বেশি সময় থাকা যাবেনা ভেতরে।
সৃষ্টিকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে নার্স চলে যায়। সৃষ্টিকে দেখেই হালকা হেসে ওঠে সৃজন। ওই অবস্থাতেই বোনকে চোখ মেরে মুচকি হেসে বলে কি ভেবেছিলি? মরে যাব? বলেছিলাম না যে তোকে ছেড়ে কোথাও যাবনা। চোখ মুছতে মুছতে ভাই এর পাশে গিয়ে বসে সৃষ্টি।
– কিরে এই আপু কাদছিস কেন? দুরর কিচ্ছু হয়নি আমার। দু একদিন থাকলেই ঠিক হয়ে যাবে। আর হ্যা প্লিজ অন্তত সেই জ্ঞান দিসনা যেন যে স্বপ্ন দেখেছিলি তাই আমি এক্সিডেন্ট করেছি। অহো বাবা আর আম্মুর কি অবস্থা? ওরা কোথায়রে? বাবা আর আম্মুর আবার কোনো ফ্র্যাকচার ট্র্যাকচার হয়নি তো? হলে কিন্তু অনেক ভোগাবে। এই বয়সে ফ্র্যাকচার হলে সহজে ঠিক হয়না। অনেক কষ্টে কান্না আটকে আলতো ভাবে ভাই এর মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে সৃষ্টি বলে ওরা ঠিক আছে ভাই। best choti
সৃজন ওর দুই হাতে সৃষ্টির আরেকটা হাত আকড়ে ধরে।এমন সময়ে নার্স এসে ঢোকে। হয়েছে সময় শেষ আর কথা বলা যাবেনা এখন। সৃষ্টি দেখে নার্সের মুখটা কেমন থমথমে হয়ে আছে। একটু আগের সেই হাসিখুশি ভাবটা আর নেই।
সৃষ্টি বেরোতেই পেছন পেছন বেরিয়ে আসে নার্স ও। কৌতুহলী চোখে বারবার তাকাতে থাকে আশেপাশে। নার্সকে বারবার আশেপাশে তাকাতে দেখে সৃষ্টি বলে কি হলো কিছু বলবেন?
নার্সটা আরো এগিয়ে আসে। একেবারে কাছে এসে ফিসফিস করে বলে বাঁচতে চাইলে ভাইকে নিয়ে পালাও।
নার্স এর কথায় হতভম্ব হয়ে যায় সৃষ্টি। অবাক হয়ে বলে মানে?
– মানে টানে বুঝিনা বোন, তবে তোমরা অনেক বিপদে আছো। অনেক ষড়যন্ত্র তোমাদের ঘিরে। তোমার ভাইকে আজ রাতেই ইঞ্জেকশন এর মাধ্যমে পয়জনিং করার জন্য তিন লাখ টাকা অফার করা হয়েছে আমাকে। best choti
হাবভাবে এটাও বুঝিয়েছে চাইলে টাকার অংক বাড়তেও পারে। তিন লাখ টাকা বুঝতে পারছ তুমি? একজন নার্স সারা বছরেও এই পরিমান টাকা পায়না। আমি যদিও না করেছি, তবে হাসপাতালের নার্স আমি কেবল একাই নই, সবাই যে এতো বড় একটা সুযোগ ছেড়ে দেবে তা ভাবার ও কোনো কারন নেই। আর আজ রাতে আমার ডিউটি। সকালেই অন্য জন এর ডিউটি পরবে। ওরা অনেক শক্তিশালি।
সৃষ্টির দু চোখে যেন ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। ভেবে পায়না ঠিক কি করবে ও।
– শোনো বোন আমি আজ রাতেই তোমাদের পালাবার ব্যাবস্থা করে দেব। চলে যাও তাছাড়া সত্যিই বিপদে পরবে।
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে যায় সৃষ্টির। ও পালাবে৷ এসব বিষয় সম্পত্তি দিয়ে কি করবে ও? যদি ওর জীবনে সৃজন ই না থাকে???
.
রাত তখন তিনটা। হাসপাতাল ঘুমন্ত প্রায়। রোগীর সাথে আসা আত্মীয় সজনরা বেশির ভাগ ফিরে গেছে, আর যারাও আছে তারা বেশির ভাহ ই ওয়েটিং রুমের চেয়ারে ঘুমোচ্ছে,আর না হয় ঝিমোচ্ছে। চাচা চাচীদের কিছু বুঝতে না দিয়ে রবিউল এর সাথে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে সৃষ্টি। ইমার্জেন্সি রুমটার সামনে অপেক্ষা করছে দাড়িয়ে দাড়িয়ে। এমন সময়ে নার্সটা একটা হুইলচেয়ার এ করে বের করে আনে সৃজনকে। ও তখন হুইলচেয়ার এই ঘুমোচ্ছে। best choti
নার্স বলে আমার সাথে সাথে এসো। হুইল চেয়ার ঠেলে অন্য একটা বেরোনোর রাস্তা দিয়ে সৃজনকে বের করে আনে ওরা। মেইন গেট এ দারোয়ান তখন ঝিমোচ্ছে। মেইন গেট পার করে দিয়ে নার্স সৃষ্টিকে বলে
– দূরে কোথাও যাও বোন। বেঁচে থাক তোমরা।
নার্স এর প্রতি যে কৃতজ্ঞতা বোধ করে সৃষ্টি তা ভাষায় প্রকাশ করবার ক্ষমতা ওর নেই। কেবল নার্সকে একবার জড়িয়ে ধরে বলে আপনি আজ যা করলেন আমাদের জন্য, জীবনে ভুলবো না।।
– ধরে নাও আমি তোমাদের বড় বোন। ছোট ভাই বোন এর জন্য এইটুকু না হয় করলাম।
বলেই চোখ মুছতে মুছতে চলে যায় নার্স।
এই বিশাল শহরে মধ্য রাতে সৃষ্টি একা। কোথায় যাবে ও? কিভাবে বাঁচিয়ে রাখবে নিজেদের? এতটা অসহায় বোধ জীবন এ করেনি ও। বেরোনোর সময় কি ঘুনাক্ষরেও ভেবেছিল যে আর কখনো ফেরা হবেনা ওই প্রিয় বাড়িটায়? হ্যান্ডব্যাগের চেইন টা খুলে দেখে ভেতরে পাঁচ হাজার টাকা আর কিছু খুচরো টাকা! এ টাকায় কি হবে? best choti
এর মধ্যে ঘুম ভেঙে গেছে সৃজন এর। বারবার অবাক চোখে তাকাচ্ছে চারপাশে। কিরে কি ব্যাপার স্বপ্ন দেখেছে নাকি ও?
পেছনে মাথা ঘুরিয়ে বলে এই আপু কি হয়েছে? এখানে কেন আমি? বাবা আর আম্মুই বা কোথায়? কাঁদছিস কেন? কথা বল। ভাইকে কি উত্তর দেবে ভেবে পায়না সৃষ্টি। সাড়াটা দিনের আটকে রাখা কান্না যেন বাধন হারা স্রোতের মতো ছিটকে বেরিয়ে আসে ওর ভেতর থেকে। ভাইকে জড়িয়ে ধরে এই মধ্যরাতে মাঝরাস্তায় হুহু করে কেঁদে ওঠে ও।
এই ব্যাস্ত শহরে হুশ হুশ শব্দ তুলে এই মধ্যরাতেও একের পর এক গাড়ি পাশ কাটাচ্ছে ওদের অথচ ফিরেও চাইছে না কেও। কেও জানলোও না এক ষড়যন্ত্রের জালে কিভাবে ভেঙে খান খান হয়ে গেল একটা সংসার। রাস্তার কিছু কুকুর কেবল অবাক চোখে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে। অবলা জীবগুলোর কাছে মনে হয় এ এক অভিনব দৃশ্য। মাঝ রাস্তায় এতো রাতে কখনো কোনো সুন্দরী মেয়েকে হুহু করে কাঁদতে দেখেনি ওরা। ( চলবে….)
Khub sundor hossa 😲
Asha korchi sad er por jibone sukh fire asbe 👍
Kindly taratari update daban
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আসলে নানান কাজের ফাঁকে এর চেয়ে দ্রুত লিখাটা কষ্টসাধ্য।
এর মধ্যে আবার গত দুই দিন ধরে ল্যাপটপতা নষ্ট, মোবাইলে টাইপ করতে হচ্ছে। আর মোবাইল টাইপিং এ আমি আসলেই একটু স্লো।
তারপরো চেষ্টা করবো তাড়াতাড়ি লিখার জন্য। সৃজন আর সৃষ্টির সাথেই থাকুন।
ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
ভালোবাসা নিরন্তর।
স্যার প্লিজ সৃষ্টি আার সৃজনের মিল করে দিয়েন মিল করে দিলে অনেক ভালে লাগবে গল্পটা পড়তে
মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আর হ্যা স্যার বলে লজ্জা দেবেন না প্লিজ, আমি আপনাদের ই একজন, অতি সাধারন এক মানুষ।
ঘটনার মোড় যেদিকেই যাকনা কেন আশা করি ভালোই লাগবে।
ভালো থাকুন।
ভালোবাসা নিরন্তর।
আরেক পর্বটা দিয়েদেন প্লিজ
ধন্যবাদ।
আমি অলরেডি জমা দিয়ে দিয়েছি এখন সাইট কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করলেই পড়তে পারবেন আশা করি।
দিয়েদেন না প্লিজ
সিরিয়াসলি এর আগে এই গল্পের মতো কোনো গল্পের জন্য এতো টা আগ্রহ হয় নি।গল্প গুলো একটু বড় করার চেষ্টা করবেন। continue 🙂🙂
অনেক অনেক ধন্যবাদ। মুলত আপনারা পাঠকেরাই আমার লিখার প্রান।
আপনাদের এক একটা কমেন্ট ই আমাকে লিখবার প্রেরণা জোগায়। আপনারা জানেন যে এটা কোনো পেইড সাইট না, গল্প লিখবার জন্য আমি কোনো টাকা পাইনা, তবে কোনো পাঠক যখন আমার লিখার প্রশংসা অথবা শমালোচনা করে সেটাকেই আমি আমার পারিশ্রমিক হিসেবে ধরে নেই।
পাঠক এর মনে জায়গা করে নিতে পারাটাই আমার সার্থকতা।
ভালোবাসা নিরন্তর।
আরেক পার্ট কখন দিবেন
আগামীকাল পেয়ে যাবেন আশা করি।
গল্পে একটু thrill আনার চেষ্টা ! খারাপ না । ভালো সাড়া পাবেন । ভাই বোনের গল্প ভাইয়ের জবানিতে ভালো লাগে । ভাইয়ের মুখে ছোট বোনের শরীরের কামোত্তেজক বর্ণনা দারুন উপভোগ্য । সেই কবে শৈশবের খেলা, রুবির জন্যেই রুবিকে পাওয়া, ছোট বোন অর্পা, বোন যখন বউ, ছোট বোন তিশা এসব গল্প পড়েছিলাম । এখন তো ভাই বোনের চটি লেখাই হয় না । আশা করি আপনার কাছে কিছু ভালো গল্প ভবিষ্যতে পাবো ।
মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে ইনসেস্ট গল্পের সেরা ভাই বোনের ইনসেস্ট। আর আসলেই ইদানিং ভাই বোনের ইনসেস্ট গল্পের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। মুলত সেই তাগিদ থেকেই আমার গল্পটা শুরু করা। এরপরে পাঠকদের মোটামুটি আশানুরূপ সাড়া পাওয়াতে এগিয়ে নিচ্ছি গল্পটা।
ভালো থাকুন, ভালোবাসা নিরন্তর।
dada apnar akta golpo poresilam valo lagchilo khub ..apni r likhchen na kano?? r likhle ma cheler gollo dien gramer.asa kori taratari pabo….
6 বছর ধরে এই সাইটে গল্প পড়ছি , কিন্তু বিশ্বাস করূন এই গল্পটার প্রতি আমার প্রচুর আগ্রহ, আর দাদা একটা অনুরোধ ওরা যেন সুখে স্বাচ্ছন্দে , শান্তিতে ফিরতে পারে , আর ওদের মিলন করিয়ে দিবেন এই অনুরোধ রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। পড়তে থাকুন। ওদের জীবনে যাই ঘটুক না কেন, আশা করি ভালোই লাগবে।
সাইট কতৃপক্ষ তারাতাড়ি গল্পটি পাবলিশ করেদিন প্লিজ
ঠিক যেন লাভস্টোরী – 15
পাবলিশ হয়েছে।
পড়ে ফেলুন। আর অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
এটা খুবই কষ্টকর পার্ট ছিল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সুখ দুঃখ হাসি কান্না এসব নিয়েই তো জীবন।
হে তাই।
ভাই চটি গল্প যে এতো আকর্ষণীয় হয় আপনার গল্পটা না পড়লে বোঝা যেত না। ধন্যবাদ এমন সুন্দর ভালোবাসার গল্প উপহার দেবার জন্য
ভাই গল্পটা তো অনেক মজা আপনার কাছে আরো সুন্দর সুন্দর গল্প আসা করছি কিন্তু ভাই গল্পে প্রথমে আলাপ তারপর একটু রোমান্স তারপর সেক্স করাবেন তাহলে গল্প আরো ভালো হবে আর ভাই একটা প্রশ্ন ছিল কিছু মনে করবেন না আপনি কমেন্টে ভালোবাসা নিরন্তর কেন বলেন যাই হোক ভাই লাইফে সেরা গল্পের মধ্যে একটা আর এর স্থান সবার উপরে ভাই আমার উদ্দেশ্যে একটা কমেন্ট লিখেন
ভাই পরের পার্ট কি দিয়েছেন